Saturday, April 26, 2014

নতুনদের জন্য মেক-আপের কিছু বেসিক জিনিস  


cnt
প্রথমে ছবি তে দেখানো খয়েরি রঙ হলো কন্টরিং পার্ট, লাল রঙ হলো হাইলাইটস পার্ট এবং বেগুনি রঙ হল ব্লাশ পার্ট।
কন্টরিং পার্টঃ
মুখের মোটা গড়ন কে পাতলা করার জন্য ৪ জায়গায় কন্টরিং করার দরকার হয়।
০১। প্রতিদিনের জন্য হালকা কালারের ব্রাউন শেড( ত্বকের থেকে এক শেড গাঢ় )
০২। রাতের পার্টি অথবা ভারী মুখের বেস করতে হলে মুখের ত্বকের থেকে ২/৩ শেড গাঢ় ব্রাউন শেড নিয়ে কন্টরিং করতে হবে।
কন্টরিং করার নিয়মঃ
গালের অংশ – মুখের চিকবোনের নিচে (ছবি তে দেয়া আছে ) , কন্টরিং করার প্রধান অংশ। অন্য কোথায় না করলেও এখানে কন্টরিং করতে হবে।
মুখের জো লাইন – মুখের শেপ লম্বাটে অথবা একটু চোখা ফিনিশিং আনার জন্য মুখের থুতনিতে ব্রাশ দিয়ে কন্টরিং করতে হবে হালকা করে, যাতে বোঝা না যায়। একদম কানের সাইড থেকে শুরু করে, ঠোঁটের কোনার নিচ পর্যন্ত কন্টরিং করতে হবে ( ছবি তে দেয়া আছে)।
নাকের শেপ – নাকের শেপ লম্বাটে করার জন্য, নাকের দু পাশে একদম-ই হালকা কন্টরিং পাওডার অথবা ক্রিম নিয়ে, ব্রাশ দিয়ে লম্বা করে লাগিয়ে, ভালো করে ব্লেন্ড করতে হবে।
কপাল – যাদের কপাল বড়, তাদের কপালকে চাপা করার জন্য হাইলাইটস করার অংশের উপরে দিক থেকে চোখের ভ্রুর উপরে অংশ পর্যন্ত কন্টরিং করতে হবে। যাদের কপাল ছোট তারা কপালে কন্টরিং করা থেকে বিরত থাকুন।
( মনে রাখবেন, ভারী মেক-আপ ছাড়া কখনই গাঢ় রঙ দিয়ে কন্টরিং করবেন না। মেক-আপ বেমানান লাগবে। মুখের বেস তৈরিতে সব চেয়ে কঠিন কাজ হলো কন্টরিং করা। তাই অনেক বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে, কন্টরিং-এ হাত আসতে।)
ব্লাস অনঃ
ব্লাস অন সাধারণত হালকা গোলাপি বেশি মানায়। তাছাড়া আজকালকার নিউ ট্রেন্ড হল কমলা কালারের ব্লাস অন। কমলা কালারের ব্লাস দিলে মুখ কিছুটা ফর্সা দেখায়। পার্টিতে যাওয়ার জন্য গাঢ় কোন কালার দিয়ে ব্লাস দিতে পারেন।
ব্লাস দেয়ার নিয়মঃ
কন্টরিং করার উপর অংশে, চিক বোনের কিছুটা নিচ থেকে শুরু করে মুখের হেয়ার লাইন পর্যন্ত ব্লাশ দিবেন। হেয়ার লাইন থেকে শুরু করে আপেল পার্ট পর্যন্ত ব্লাস দিতে হবে। ভালো করে আপেল পার্ট থেকে শুরু করে হেয়ার লাইন পর্যন্ত ( নিচ থেকে উপরে ) ব্লেন্ড করতে হবে।
হাইলাইটস পার্টঃ
মুখের সেন্টার পয়েন্ট গুলো উজ্জ্বল (হাইলাইটস) করার জন্য ব্যবহার করা হয় শিমার পাওডার অথবা ক্রিম ব্লাশ।
১। যাদের ত্বকের রঙ ফর্সা তারা সাদা, ন্যাচারাল গোলাপি, হালকা গোল্ড কালারের শিমার কালার নিয়ে হাইলাইটস করতে পারেন।
২। যাদের ত্বকের রঙ চাপা তারা ন্যাচারাল অথবা হালকা গোল্ড কালারের শিমার কালার নিয়ে হাইলাইটস করতে পারেন।
হাইলাইটস করার নিয়মঃ
১। গালের অংশে – গালের চিক বোনের উপরের অংশে, চোখের নিচে অংশে হাইলাইটস করতে হয়। নাকের সাইডের নিচের অংশ থেকে শুরু করে চিক বোনের উপরের অংশ পর্যন্ত করতে হবে।
২। নাকের অংশে – নাকের মাঝখানে ( নজ ব্রিজ ) এ লম্বা করে হাইলাইটস দিতে হবে।
৩। কপাল – কপালের মাঝখানে, দুই ভ্রুর মাঝের অংশে হাইলাইটস করবেন।
৪। ঠোঁটের উপরে এবং নিচে – ঠোঁটের উপরে এবং নিচে ছবিতে দেখানো অংশে কিউপিড বও এবং টিপ অফ চিনে হালকা করে হাইলাইটস করতে হবে।
আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে।
লিখেছেনঃ তাপসী

No comments:

Post a Comment